এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মালদা উত্তরের দু-বারের কংগ্রেস সাংসদ তথা জেলার কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর সোমবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। মালদা উত্তর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করল ইশা খান চৌধুরীকে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। ইশা খান চৌধুরী বর্তমানে দক্ষিণ মালদার সুজাপুর কেন্দ্রের বিধায়ক। সম্পর্কে মৌসমের মামাতো দাদা। মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)-র ছেলে। মৌসম বেনজির নুর যে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, সে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিলই। এদিন মৌসম তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরপরই মালদা উত্তর কেন্দ্রের জন্য তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করে চমক দেয় রাজ্যের শাসকদল। তারপর আর কালবিলম্ব করেনি কংগ্রেস। তড়িঘড়ি তারাও প্রার্থী ঘোষণা করে দেয়। বরকত গনিখান চৌধুরীর মৃত্যুর এতদিন পরেও মালদায় তাঁর নামেই ভোট হয়। যে কারণে ২০১৪-য় প্রবল মোদী-ঝড়ের মধ্যেও গনি-গড়ে দুটো কেন্দ্রই অটুট রাখতে সমর্থ হয় কংগ্রেস। 67714256 গনিখানের মৃত্যুর পর মালদা উত্তর কেন্দ্রে কংগ্রেসের সংগঠনকে নিজের মতো করে সাজিয়ে তুলেছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমন্সী। শুধু সংগঠন সাজানো নয়, ওই এলাকায় প্রচুর কাজও করেন। যে কারণে গনির পাশাপাশি সেখানে প্রিয়রঞ্জন দাশমন্সীরও প্রবল জনপ্রিয়তা ছিল। প্রথমবার ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে তাই প্রিয়রঞ্জনকে উপেক্ষা করতে পারেননি গনিখানের বোনঝি। এই ক-বছরে মৌসম যদিও নিজস্ব ভোটব্যাংকও তৈরি করেছেন। যে কারণে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মালদা উত্তর কেন্দ্রে এবার হাড্ডাহাড্ডা লড়াই হবে। গনি পরিবারের ঘরের লড়াইয়ে, ক্ষীর খেতে পারে বিজেপি। তাঁদের এই আশঙ্কার কারণ হল, মৌসম ও ইশার মধ্যে কংগ্রেস সমর্থকদের ভোট ভাগাভাগি। যার ফায়দা পাবে বিজেপি। তা ছাড়া, উত্তর মালদার আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে বিজেপির বরাবরের একটা প্রভাব রয়েছে। যদিও, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মালদায় কংগ্রেসের ভোট ব্যাংকে ধস নেমেছ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলের উল্লেখ করে শাসকদলের দাবি, জেলা পরিষদের ১৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের ঝুলিতে মাত্র ২টি। সেখানে বিজেপি ও তৃণমূল পেয়েছে ৬টি করে আসন।
from Eisamay http://bit.ly/2FYK0f8