এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহত্ ধর্ম সভা। এখানে মিলেমিশে যায়, নানা মত, নানা পথ। এ এমন এক জায়গা যেখানে ঈশ্বর সাধনায় বাধ সাধে না বয়সের ব্যবধান।কুম্ভের প্রাঙ্গনে দেখা মিলল এমনই কয়েকজন খুদে সাধুর। গেরুয়া পোশাকে জুনা আখড়ার সামনেই ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল মাত্র ৬ বছরের ছৌদাস পুরীকে। হরিয়ানা থেকে আসা ছৌদাস তখন ব্যস্ত তিনটি বেলুন সামলাতে। জুনা আখড়ার গুরু রসমঙ্গল পুরী জানান, ‘ও খুব দুরন্ত। ছোট থেকেই আমার সঙ্গে আছে। ওর মতো অনেকেই আমার কাছে থেকে বড় হয়ে গেল।’ কুম্ভমেলার ‘বাল সাধু’-দের মধ্যে অন্যতম ছৌদাস। বড়দের মতো প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় দিন শুরু হয় তাদেরও। সংস্কৃত পাঠ থেকে শুরু করে নানা আচার অনুষ্ঠান—সবেতেই অংশ নিতে হয় তাদের। ছৌদাসের মতো কুম্ভে দেখা গেল আরও এক বাল-সাধুকে। অবশ্য বয়সে সামান্য বড় হরিয়ানার আমানপ্রীত পুরী। ১২ বছরের আমানপ্রীত জানায়, ‘আমাকে বলা হয়েছে মাত্র ১০ মাস বয়সেই গুরুজি তাঁর ছত্রছায়ায় আমাকে নিয়েছিলেন। আমার মা-বাবা আমাকে গুরুজির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আমি জানিই না তাঁরা কারা এবং এখন তাঁরা কোথায় আছেন।’যদিও ঠিক কত জন বাল-সাধু এবছর কুম্ভে এসেছেন সে বিষয়ে সঠিক ধারণা কারও নেই, তবে চোখ ফেরালেই দেখা মেলে তাদের। কেউ হয়তো ব্যস্ত খেলনা গাড়ি সামলাতে, আবার কেউ বা মেতেছে অন্য কোনও খেলায়। এত কম বয়স থেকে সাধুসঙ্গে থাকতে থাকতে বয়ঃসন্ধির মধ্যেই তাদের মধ্যে চলে আসে পরিবর্তন। হয়ে ওঠে ধীর-স্থীর, চিন্তাশীল। খবরটি ইংরেজিতে পড়তে CLICK করুন
from Eisamay http://bit.ly/2G5vhyc